সংবাদ শিরোনাম :
কিস্তির টাকা না দেওয়ায় গরু নিয়ে গেল এনজিও গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা’র লোকজন

কিস্তির টাকা না দেওয়ায় গরু নিয়ে গেল এনজিও গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা’র লোকজন

ওসমান গনি
স্টাফ রিপোর্টার
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচায় কিস্তির টাকা দিতে না পারায় এক অসহায় পরিবারের গরু ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ আইচা গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থার এক এনজিও কর্মীর বিরুদ্ধে।

উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী দৌলতপুর গ্রামের কাঞ্চন মিস্ত্রির স্ত্রী কুলসুম বেগম বলেন, সম্প্রতি দক্ষিণ আইচা গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নেই। সেই টাকা সপ্তাহে ২৫০০ টাকা করে ১৩টি কিস্তি দিয়েছি। হঠাৎ দেশের চলমান পরিস্থিতি কারণে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় ওই এনজিওর মাঠকর্মী হাসিনা ও ম্যানেজার মো. শামীম আমার বাড়িতে এসে আমার গরু ছিনিয়ে নেয়।

তিনি আরও বলেন, গরুটি নিতে তাদেরকে নিষেধ করলেও তারা কোনো কথা শুনেনি। আমি ক্ষেতখামারে কাজ করে সংসার চালাই। আমি তাদেরকে বলছি সমিতির টাকা পরিশোধ করব তাও শুনল না। গরুটি নেওয়ার সময় তাদেরকে বলেছি গরুটির একটি চার মাসের বাচ্চা রয়েছে। বাচ্চাটি এখন চিৎকার করছে। তবুও তারা গরুটি ছাড়েনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ছালাউদ্দিন মুন্সি বলেন, এনজিওর টাকা দিতে না পারায় গোয়াল ঘর থেকে একটি গরু ছিনিয়ে নিয়ে অমানবিক কাজ করেছে এনজিওর লোকজন। আইনিভাবে এটা করতে পারে না। এনজিওটির বিরুদ্ধে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

সংস্থার মাঠকর্মী হাসিনা বেগম বলেন, এনজিও থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে কয়েকটি কিস্তি চালিয়েছে কুলসুম বেগম। এরপর ঋণ খেলাপি করছেন তিনি। সেই টাকা পরিশোধ করতে বারবার বলেছি। টাকা পরিশোধ না করায় তার একটি গরু নিয়ে আসছি।

গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থার ম্যানেজার মো. শামীম বলেন, কিস্তির টাকা পাওনা থাকায় একটি গরু নিয়ে আসছি। এর বাহিরে তিনি আর মন্তব্য করেননি।

দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook Comments Box





© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ দৈনিক নাগরিক বাণী